ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো কি কি ?
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
আমেরিকার ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি কোনও ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন , একই সঙ্গে তিনিই প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন।
নিউইয়র্কের আদালতে ঘুষ কেলেঙ্কারি, ব্যবসায়িক নথি জাল সংক্রান্ত মামলা, ক্যাপিটল হিল সহিংসতায় নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টা মামলা এবং হোয়াইট হাউজের নথি সংক্রান্ত মোট চারটি ফৌজদারি মামলা ও ৩৪টি অপরাধমূলক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যেগুলোতে ইতিমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক নজরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাগুলো –
নিউ ইয়র্ক ঘুষ মামলা-
নিউ ইয়র্কে ব্যবসায়িক নথি জাল সংক্রান্ত মামলায় তার বিরুদ্ধে ওঠা ৩৪ টি অপরাধমূলক অভিযোগে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চলতি বছরের মে মাসে নিউ ইয়র্কের এক আদালত তাকে একজন অ্যাডাল্ট ফিল্মস্টারকে মুখবন্ধ রাখার জন্য টাকা দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
৬ জানুয়ারির মামলা-
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে, সেই নির্বাচনি ফল বদলে ফেলার জন্য জোরদার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। সেকারণে স্পেশাল কাউন্সেল বা বিশেষ কৌশুলি জ্যাক স্মিথ , ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।
গোপনীয় নথি সংক্রান্ত মামলা-
প্রথম দফায় হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর গোপনীয় নথি সঠিকভাবে ‘হ্যান্ডল’ করা হয়নি বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছে তারও নেতৃত্বে রয়েছেন জ্যাক স্মিথ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মার-এ-লাগোর’ বাড়িতে সংবেদনশীল নথি সংরক্ষণ এবং সেই নথি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক আইলিন ক্যানন জুলাই মাসে অভিযোগগুলো খারিজ করে দেন। বিচারকের যুক্তি ছিল এই মামলার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিচার বিভাগ যথাযথভাবে জ্যাক স্মিথকে নিযুক্ত করেনি। সঙ্গত, বিচারক আইলিন ক্যাননকে নিয়োগ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পই। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন স্মিথ।
জর্জিয়া নির্বাচনী মামলা-
জর্জিয়াতেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে ২০২০ সালে সেখানকার ভোটের ফলাফল বদলে ফেলার চেষ্টার কারণে। এই মামলা একাধিক বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফানি উইলিসকে ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণার চেষ্টা।
ফানি উইলিসকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা সে বিষয়টি এখন আদালতে বিবেচনাধীন।
তবে, যেহেতু ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন, তাই এ মামলার ফয়সালা হতে দেরি হতে পারে বা সম্ভবত খারিজও হয়ে যেতে পারে।